২০৬১ - ত্রিদেব চৌধুরী (১৮.০৫.২০২৫ তারিখে দৈনিক যুগশঙ্খের রবিবারের পাতায় প্রকাশিত) সাল ২০৬১। মে মাসে শিলচরে এবার গরম যেন একটু বেশিই পড়েছে। গেল বছর এরকম সময় বাহান্ন ডিগ্রি ছিল। এবার ছাপ্পান্ন ছুঁইছুঁই। গান্ধীবাগ উদ্যানের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে একটি কিশোর। তার নাম জানা নেই। জানার দরকার ও নেই তেমন। ষোলো বছরের কিশোরদের কোন ব্যক্তিগত নাম থাকলে ও সেটা তাদের মুখ্য পরিচয় নয়। রুগ্ন এবং শীর্ণকায় শব্দদ্বয়ের মধ্যবর্তী সীমানায় তার স্বাস্থ্যের অবস্থান। পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার। সেখান থেকে নল বেরিয়ে তার মুখের মাস্কে প্রবেশ করেছে। অনেকদিন ধরেই বাতাসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। পৃথিবীতে এখন গাছপালা অনেক কমে গেছে। অক্সিজেনের উৎপাদন কম। বাতাসে হাঁপ ধরে। প্রায় সবাইকেই এখন পিঠে সিলিন্ডার বইতে হয়। কিশোরের শরীরী ভাষা দেখলে মনে হবে সে গান্ধীবাগে ঢুকতে চায়। দারোয়ান তাকে ঢুকতে দিচ্ছে না। কারণ তার পিঠের সিলিন্ডার বিদেশি নয়। নিম্নমানের প্রযুক্তিতে গড়া দেশি সিলিন্ডার নিয়ে পার্কে ঢোকা নিষিদ্ধ। নিরাপত্তা বলে একটা ব্যাপার তো আছে। কিশোর বিড়বিড় করে বলল, - ‘আজ উনিশ তারিখ।‘ ...
যদি এই লেখাটি আপনার আজ পড়া না হতো (২৭.০৪.২০২৫ তারিখে দৈনিক যুগশঙ্খের রবিবারের পাতায় প্রকাশিত) ধরুন, যদি আজ কাগজ খোলাই হতো না। কতদিনই তো হয় এরকম। সকালে কিছু একটা ঝামেলা, কোন একটা কাজ, ব্যস্ততা, অথবা হয়তো হকার কাগজখানাই দিল না। অথবা কাগজ এত দেরিতে এল যে আপনার তখন আর সেটা পড়ার মত ফুরসত নেই। কিন্তু সত্যিটা হলো, এসবের কোনটাই আজ ঘটে নি। এই মুহূর্তে আপনি দৈনিক খবরের কাগজের রবিবারের পাতায় এই ঘুমপাড়ানি বোরিং লেখাটায় চোখ বোলাচ্ছেন। যদিও দিনটা আজ অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু হয়নি। এই যে ‘যা হয়নি কিন্তু হতেও তো পারত’ গোছের সমস্ত সম্ভাবনা – তার একটা কমন ইংরেজি নাম আছে। কাউন্টারফ্যাকচুয়ালস। ‘আপনার গিন্নি কিংবা স্বামীর সাথে আপনার বিয়ে না হলে কী হতো’ অথবা ধরুন ‘আপনার মনের মানুষটির প্রেমে যদি না পড়তেন তাহলে কী হতো’ এসব বলেটলে বিষয়টা ব্যাখ্যা করার বাহানায় আরেকটু রস ঢালা যেত। কিন্তু ওতে লাভ হতো না। তখন এ লেখার উদ্দেশ্য নিছক বিনোদন হয়ে দাঁড়াত। কাউন্টারফ্যাকচুয়ালস-এর উপস্থিতি আমরা অনেক কিছুতেই দেখতে পাই। ইতিহাস, বিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা, দর্শন থেকে শুরু করে এক...