আজ মহালয়া। অমাবস্যা তিথি। পিতৃপক্ষের শেষ দিন। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ। পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তিল জল অর্পণ করে তর্পণ করার আজ শেষ দিন। অপেক্ষায় রয়েছেন আমাদের অগ্রজ অগ্রজারা। দাদু, ঠাকুর্দা, দিদা, ঠাকুমা এরা সবাই হয়ত আজ পরলোকের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াবেন। দু' তিনটে কালো তিল আর কোশাকুশি থেকে ক'ফোঁটা জল - এই সামান্য নিবেদনটুকু গ্রহণ করার জন্যে। মনে হয়ত আশা, কেউ কি এল, তাদের স্মরণ করতে? কলেজে যখন বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছি তখন মনে হত এইসব তর্পণ ফর্পণ এক হাস্যকর কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। বাপ ঠাকুর্দাদের আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই যে আমাদের ওই ক'টা কালো তিল আর নদীর নোংরা দূষিত জল পেয়ে তৃপ্ত হবেন। যত সব! মরার পর আবার কিছু থাকে নাকি? আজ এই পরিণত বয়সে বুঝি, তাঁরা এই তুচ্ছ জলাঞ্জলিতে তৃপ্ত হলেন কি না সেটা আসল কথা নয়। তাঁদের তৃষ্ণা মিটল কিনা সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, তাঁদের স্মরণ করে নিজেরা ধন্য হলাম কি না। আসল কথা হল আমাদের মনের তৃষ্ণা মিটল কি না। জীবনের নানা ঝড় ঝাপ্টা তাঁরা সামলেছেন। দেশভাগের যন্ত্রণা, বারে বারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নতুন করে থিতু হওয়া -এতসবের পর ও নিজের মনন ও ...